Thursday 15 March 2018

আবোল তাবোল১৫/০৩/১৮


খুব ইচ্ছে করে, একদিন এমনি,রোজকার মত নাকে মুখে গুঁজে, দৌড়তে দৌড়তে ভিড় বাসে উঠে, ছুটতে ছুটতে জনা দুয়েক লোককে গোঁত্তা মেরে উল্টোডাঙা ফুট ব্রীজে উঠব- তারপর নামবে প্রকাণ্ড আলস্য। বিশাল হাই তুলে, সেঁটিয়ে দাঁড়াব রেলিং  এর সাথে। পিছনে ছুটে আসা,গোঁত্তা মারতে উদ্যত নিত্যযাত্রীটিকে ইশারায় বলব,“যা না ভাই। যা। এগিয়ে যা। ” আমার আজ আর জাস্ট যেতে ইচ্ছা করছে না। ফুটব্রীজের ওপর থেকে হাঁ করে দেখব, ধুলোমাখা মহানগরের ব্যস্ত জনজীবন। কেমন দৌড়চ্ছে সবাই দেখ-। শুধু দৌড়েই যাচ্ছে, আমার আজ কোথাও যাবার নেই, আমার আজ কিচ্ছু করার নেই। গুটগুট করে নেমে একটা ফাঁকা বাস ধরে,সোজ্-জা বাড়ি। চেনা কলিং বেলের আওয়াজে,তুত্তুরী যখন দরজা খুলবে- চিৎকার করে বলব“সারপ্রাইজ”। আজ শুধু মা আর মেয়ের দিন। বন্ধ কর-কলিংবেল আর মোবাইল ফোনের প্যাঁ পোঁ।

ভীষণ ইচ্ছে করে একদিন,নৈহাটী স্টেশনে নেমে আর লঞ্চ ঘাটের দিকে উর্দ্ধশ্বাসে দৌড়ব না। বরং উল্টোদিকে দৌড়ে আবার উঠে পড়ব, শিয়ালদহ মুখী ফিরতি ট্রেনে। ভালো দেখে জানলার ধারে বসে, এক ঠোঙা খোলা শুদ্ধ বাদাম ভাজা কুটকুট করে খাব, আর তাজ্জব হয়ে দেখব অফিস টাইমের ব্যস্ততা। অত্যন্ত শ্লথগতিতে দৌড়াবে মস্তিষ্কের ঘোড়াগুলো- এতসব ছুটছে কোথায়?

খুব ইচ্ছে করে,একদিন দৌড়তে দৌড়তে লঞ্চঘাটে পৌঁছাব,কিন্তু লঞ্চে উঠব না। উন্মুক্ত জেটির ওপর খোলা আকাশের নীচে রৌদ্রস্নান করব, সামনে দিয়ে নূপুর পরে টুকটুক করে বয়ে যাবে ভরা জোয়ারের নদী। নদীর তো কোন ব্যস্ততা নেই। তাহলে সে যাচ্ছে কোথায়?দিনান্তে সবাই ঘরে ফেরে,তুই কেন ফিরিস না নদী? আহা তোর জন্য বুঝি কেউ উন্মুখ হয়ে নেই?অথবা আছে,তুই জানিস না। ফিরে যা নদী। একবার অন্তত ফিরে গিয়েই দেখ না-

খুব ইচ্ছে করে,একদিন,সাড়ে এগারোটায় ঢুকে সাড়ে বারোটায় জবাব পাঠাবার আব্দার নিয়ে আসা ইমেলের জবাবে , একটা প্রকাণ্ড জিভ কাটা, এক চোখ বন্ধ ইমোজী পাঠাতে। অ্যাল্
 
খুব ইচ্ছে করে,একদিন, চেয়ারটাকে পিছনে হেলিয়ে, টেবলের ওপর জোড়া পা তুলে চিৎকার করে গাইতে,“ আমি আজ হেড অফিসে পাঠাব না ফ্যাক্স------”।
একটাই ভয় যদি জুজু ফোন তোলে---

No comments:

Post a Comment