Saturday 12 May 2018

আমাদের গপ্প

আমাদের গপ্প ৬ই এপ্রিল ২০১৭#1
যদি কাউকে সাড়ে দশটায় মেসেজ করা হয়,“ধুৎ! গাড়ি আসেনি। লঞ্চঘাটে দাঁড়িয়ে আছি। ” সেই মেসেজ সে বেলা সাড়ে বারোটায় পড়ে এবং পড়া মাত্র উদ্গ্রীব হয়ে ফোন করে, এখনও রাস্তায় দাঁড়িয়ে আছি কি না জানতে(?) তাহলে কি বুঝব? ভালবাসা নাকি মরিচীকা?
আমাদের গপ্প  ১৭ই এপ্রিল ২০১৭ #2
-তুই একদম আমার বাবার মত নস্!
-ঈশ্বরকে ধন্যবাদ।
-বাবা হলে কখনওই আমাকে ফেলে সিগন্যাল গ্রীণ দেখলে ল্যাজ তুলে দৌড়ত না।
-ভাগ্যিস্।
-বাবা হলে কখনই ভিড় বাসে, আমি দাঁড়িয়ে থাকা সত্ত্বেও সিট পেলেই, থপ করে বসে পড়ত না।
-যাঃ বাবা। তুই এই দিকের সিটে বসবি কেন?
-আহাঃ! কি যুক্তি! যেন ওটা জেন্টস্ সিট, জেনারেল সিট নয়?
-একটু পরেই তো সিট পেলি রে বাবা--
-তাতে কি? তুই সেই ভাল্লুকের গল্পটা জানিস তো?
-কোন ভা- ল্লু- ক?ও সেই গল্পটা যেখানে ভাল্লুক বলবে এত চর্বি ওলা লোক খাই না! বলে চলে যাবে?
-ইশ্!!!!!ভালো হবে না বলছি---
আমাদের গপ্প #৩ 20.07.2017
-অমুকের ঘাড়ে চাপতে গেলি কেন খামোখা?
-কিঃ?খামোখা তুই ছাড়া অন্য লোকের ঘাড়ে চাপতে যাব কেন?
-মেসেজ করলি যে? অমুক অফিসারের ঘাড়ে।
- সত্যি মাইরি ।  লিখলাম অমুকের ঘরে (ghare)। ঘাড়ে নয়। মানছি ইংরাজি হরফে বাংলা তাই বলে এত সাংঘাতিক ভুল কেবল তুই ই বুঝতে পারিস।
-না মানে, ঘাড়ে চেপে ভেজা খাওয়া তোর স্বভাব কি না--- তাই ভাবলাম আর কি--
#Aninditasblog #আমাদের_গপ্প
https://amianindita.blogspot.com
আমাদের গপ্প #৪ ২৯শে অক্টোবর  ২০১৭
-কি করছিস?
-(অন্যমনস্ক ভাবে) উঁ, লিখছি, মিসির আলির গল্প।
-বাবাঃ তুই এর মধ্যে আবার মিসির আলির গল্পও লিখে ফেললি। তাহলে চেষ্টা চরিত্র করে এবার গোটা চারেক রবীন্দ্রসঙ্গীতও লিখে ফেল-
-হাঃহাঃ। হিহি। হোহো। উফ্ বাপরে বাপ। হাসতে হাসতে পেট ব্যথা হয়ে গেল। কি বাজে লোক বাবা তুই। জঘণ্য। 
http://amianindita.blogspot.com/2017/04/blog-post_17.html
#আমাদের_গপ্প
আমাদের গপ্প #5 ২০শে এপ্রিল ২০১৮
বুদ্ধিমত্তার কোন সীমায় পৌঁছালে, মানুষ পরের মুঠো ফোনকে আপন মনে করে, ব্যাগগত করে? মানছি অফিস যাবার বড় তাড়া, তবুও?
আর তারথেকেও বেশী বুদ্ধি ধরেন যারা, তাঁরা কি করে জানেন? চলন্ত ট্রেনে সওয়ার যাত্রীকে ফোন করে বলে, "ওই, আমার ফোন ফেরৎ দিয়ে যা। এখুনি!"
আমাদের গপ্প ৬ ১২/০৫/১৮
-(খেতে বসে ,মা) উফ্ বাড়িতে এক টুকরো চকলেটও নেই। সব তুত্তুরী খেয়ে বসে আছে।
-(বাবা, খাবার থালার ওপর ঝুঁকে পড়ে, বিড়বিড় করে) ঈশ্বর আছেন।
-(মা, ঘ্যানঘেনে সুরে) সত্যি রে, একটুকরো চকলেটের জন্য প্রাণটা হাহাকার করছে।
-(পাশ থেকে তুত্তুরী, সোৎসাহে) হ্যাঁ বাবা, আমারও।
-(মা, তীব্র কটাক্ষে তুত্তুরীকে অর্ধেক ভস্ম করে দিয়ে, ওষ্ঠ্য ফুলিয়ে) সব খেয়ে বসে আছে, আবার বড় বড় কথা। আমি আজ দুপুরে চকলেটের স্বপ্নও দেখেছি। দেখলাম গাছে চকলেট ফলেছে। (বাবার কোন হেলদোল দেখা গেল না। একমনে রুটি চিবোচ্ছে) সত্যিরে স্বপ্ন দেখলাম, আমার বন্ধু রুণাদের বাড়ির সামনে বিশাল কদম গাছে, যেমন ঘুড়ি আটকায়, তেমনি একটা অতিকায় বোর্ণভিল চকলেট আটকে আছে। রুণা বলল,“গাছটা একটু সাফ করে দে তো। ” আমি ওমনি গাছে উঠে, চকলেটটা হাতিয়ে,ওখানেই বসে খেতে লাগলাম।
-(তুত্তুরী উৎসাহের আতিশয্যে দাঁড়িয়ে উঠে) হ্যাঁ আমিও আজ দুপুরে স্বপ্ন দেখলাম আমি চকলেট ওয়ার্ল্ডে পৌঁছে গেছি। মা কোথায় গেল? পিছন ফিরে দেখি মা গাছে উঠে বসে আছি।
-(বাবা, দুজনের দিকে তাকিয়ে, নির্বিকার ভাবে) আমিও দুপুরে একটা স্বপ্ন দেখেছি। আমার হাতে একটা কুঠার,আর আমি একটা গাছ কাটছি।
-(তুত্তুরী) কোন গাছ? মা যেটায় চড়ে বসেছিল সেটা?
-(বাবা,পুনরায় থালার দিকে তাকিয়ে) আর বলব না।
(এরপরের খণ্ডযুদ্ধ উহ্যই থাক বরং)
শৌভিক,অনি আর তুত্তুরীর গপ্প ২৩/০৮/১৮
-বাবু? আবার তুই আমার ফোনে হাত দিয়েছিলি?
-(ভালোমানুষের মত মুখ করে) না তো মা।
-আবার মিথ্যে কথা? আমার ফোন বলছে-
-বাবা মায়ের মাথাটা গেছে, বলছে মায়ের ফোন নাকি কথা বলছে-
- বলেই তো। ফোন খুলতেই দেখি লুকা মর্ডিক এর ছবি। কে যেন আমার ফোন থেকে গুগল সার্চ করেছিল-
-লুকা মর্ডিককে কি সুন্দর দেখতে বলো বাবা।
-(বাবা পাশ থেকে) একে লুকা মর্ডিকের সাথে বিয়ে দিয়ে দে।
-(দীর্ঘশ্বাস ফেলে) সেকি আর হবে। লুকা মর্ডিকের তো বিয়ে হয়ে গেছে-
-ধুর নিকুচি করেছে মর্ডিকের। ফের যদি আমার ফোন খুলেছিস, পাসওয়ার্ড বদলে দেব। আর জানাবও না।
-(অনুযোগের সুরে) বাবা মা কেন ফোন লক্ করে রাখে বলো তো।
-(মা ব্যঙ্গের সুরে) না হলে তুমি জনগণকে মেসেজ পাঠিয়ে বেড়াও যে। যার সাথেই কথা বলি, ফোন রাখতে না রাখতেই- আমি আশিসদাকে দেখব। নির্মলের ছবি দেখাও। ডিএম সাহেব ছবি লাগায়নি কেন? আমার চাকরী বাঁচলে হয়।
-হুঁঃ। বাবা জানো তো,মা না একটু আগে তোমার ফোন ঘাঁটছিল।
-ঘাঁটিনি। ফোন করছিলাম। তার কারণ তুমি আমার ফোন থেকে দাদুর সাথে মহাভারত রচনা করছিলে। কি লাগানেকুটি মেয়ে বাপু তুই।
-(ষড়যন্ত্রের সুরে)বাবা, তুমিও তোমার ফোনের পাসওয়ার্ডটা পাল্টে ফেল। আর মাকে বোল না। শুধু তুমি জানবে আর আমি জানব।
-(বাবা উপহাস্যের সুরে) হ্যাঁ যাতে এবার তুই আমার কনট্যাক্ট নিয়ে ছেলেখেলা করতে পারিস।
-(অবস্থা বেগতিক দেখে)বাবা মেয়েরা প্যান্ট-শার্ট পরে,ছেলেরা কেন ফ্রক পরে না।
-(বাবা গম্ভীর ভাবে) পরলেই হল। স্কটল্যান্ডের ছেলেরা স্কার্ট পরে তো।
-তুমি পরবে বাবা?
-হ্যাঁ আমিও ঠিক করেছি এবছর পুজোয় ফ্রক পরব। তোর মাকে কিনে দিতে বলিস।
আমাদের গপ্প 7 02.09.18
-(স্কুল থেকে ফেরার পথে রিক্সায় উঠে) বাপরে বাবু,তোকে তো চেনাই যাচ্ছে না। এঁকেছিস না রঙের ওপর গড়াগড়ি খেয়েছিস?
-(গম্ভীর মুখে)মা, প্লিজ ডোন্ট আন্ডার এস্টিমেট মি।
-কে আবার তোকে আন্ডার এস্টিমেট করল?
-বাবা করে তো সব সময়। কাল বলছিলাম টিচার্স ডে তে মিসের জন্য একটা কার্ড বানাব। দাদুকে বললাম আর্ট পেপার কিনে রেখো তো। তুমি কার্ডের মাপে কেটে দেবে আর তাতে আমি রেইন অব হার্টস্ আঁকব।
-শুনে বাবা চোখ গোলগোল করে বলল, তাহলে তো তলায় লিখে দিতে হবে, ইহা একটি ছবি।
-সে যাই হোক, আমি কোন এস্টিমেটই করছি না, শুধু বল সাদা জামাটা লালনীলবেগনি হল কি করে। আর পকেট ভর্তি ওগুলো কি?
-এগুলো? এগুলো হল কালার পেনসিলের খোলা। পেনসিল বাড়লে যে গুলো ঝরে পড়ে না, ওগুলো।
-বুঝলাম। তা ও গুলো বুক পকেটে করে বাড়ি বয়ে আনার কারণটা বুঝলাম না।
-বন্ধু দিল।
-বন্ধু তার কালার পেনসিল বেড়ে খোলা গুলো তোর সাদা জামার বুক পকেটে ঢুকিয়ে দিল আর তুই খুশি খুশি বাড়ি চলে এলি?কি আকাট বাবু তুই।
-বাঃ। ও ভালোবেসে দিল আর আমি নেবো না।
-এটা ভালোবাসা? তোকে বোকা বানিয়েছে আর তুইও -
-আরে বাবা পকেটটা আছে কেন? কেউ কিছু দিলে রাখার জন্যই তো। আমি তো আমার ব্লু পেনসিলটাকেও পকেটে রেখেছি। বাবা যেমন পেন রাখে।
(খানিকবাদে রিক্সা থেকে তীব্র স্বরে হর্ন বাজানো বাইক আরোহীর উদ্দেশ্যে “ওরম তাকিওনা” গানের মজার সুরে) এই হর্ণ বাজিও না।
(একটু পরে ফুটপাতে কলহমান জুড়ির উদ্দশ্যে) এই ঝগড়া কোর না।
(আরো কিছুক্ষণ পরে আনমনে নির্বিকার চিত্তে কণ্ডুয়ন রত ব্যক্তির উদ্দেশ্যে) এই @Φ‡ চুলকিও না।
-(প্রবল ধমকের সুরে)বাবু ভালগারিটির একটা লিমিট রাখ।
-(অবাক হয়ে)ভালগারিটি মানে?
-অশ্লীলতা। অসভ্যতা।
-আমি কি করলাম?
-কারো প্রাইভেট পার্টস্ নিয়ে কথা বলতে আছে?না দেখতে আছে?তাও রাস্তায়?
-যাঃ বাবা, ও রাস্তায় চুলকাতে পারে আর আমি বলতে পারব না?বললেই ভালগারিটি?
আমাদের গপ্প ৮ ১৮/৯/১৮
-খাবি না?
-নাঃ। একদম খেতে ইচ্ছে করছে না। গা গুলোচ্ছে। একে গরম,তায় মনে হচ্ছে নজর লেগে গেছে।
-কারো নজর লাগেনি। তুইই নজর দিয়েছিলি খাবার গুলোর ওপর। চিকেন,মাটন, পমফ্রেট- উফ্।
-কি কথার ছিরি।  হে ভগবান। তুলে নাও আমায়।
-জিমে গেছে।
-কে?
-ভগবান। তোকে তুলতে হবে তো।
-হিঃ হিঃ। হাহা। হোহো। কি যাতা মাইরি।
-(বাবামায়ের দাম্পত্যালাপে বলপূর্বক অনুপ্রবেশ করে) বাবা তুমি বরং অনুষ্কা শর্মাকে বিয়ে কর?বিরাট কোহলির বউ।  সে একটুও মোটি নয়-
-তোর বাবা আমাকে ছাড়া আর কাউকেই বিয়ে করবে না। বুঝলি। তুই এবার পড়। বাবা-মায়ের সব কথায় কান দেবার দরকার নেই। পাকা মেয়ে।
-(মায়ের কুবাক্য গ্রাহ্য না করে,উঠে গিয়ে বাবার গলা জড়িয়ে) হ্যাঁ বাবা। তুমি বরং সব খেলোয়াড়দের বউদের বিয়ে করে নাও।
-(বাবা হাই তুলে)নাঃ বিয়ে ব্যাপারটা ওভাররেটেড। ওয়েস্টেজ অব টাইম বুঝলি।
-না বাবা। বিয়ে তোমায় করতেই হবে।  তাহলেই সব খেলোয়াড়রা আমাদের বাড়ি চলে আসবে বেশ। ওদের সব মেডেল, ট্রফি কেমন আমাদের দিয়ে দেবে। আমরা সুন্দর করে সাজিয়ে রাখতে পারব-। বেশ মজা হবে বলো বাবা?(কিয়ৎক্ষণ পরে ফিসফিস করে) বাবা, মাকে বলো না একটা ফ্যান্টা আনতে।
-(বাবাও ফিসফিসিয়ে)তুইই বল বরং।
-(ভিজে বেড়াল সেজে) মা বেরোচ্চো?আমার জন্য ফ্যান্টা আনবে মা?
-তা আনব না?আমার বরের সাথে দুনিয়ার মেয়ের বিয়ে দেবে, আর আমি তোমার জন্যই তো ফ্যান্টা আনব মা।
আমাদের গপ্প ৯ ২৫/১০/২০১৮
দুপাশে দিগন্তরেখা বরাবর নাতি উচ্চ ঘণ সবুজ পাহাড়। যতদূর চোখ যায় হলদে সবুজ ধানক্ষেত। মাঝে রাস্তা দিয়ে নড়বড় করে চলছে গাড়ি। বাবামায়ের মাঝে বসেছে তুত্তুরী, মুখে রবি ঠাকুরের দাড়ির মত প্লাস্টিক পরানো। অাহা গাড়িতে উঠলেই তুত্তুরীর সেইটা হয় যে।
বাবা ঢুলছে দেখে, ফিসফিস করে তুত্তুরী মায়ের কানে কানে বলল,“মা, একটা সত্যি কথা বলব?”
বাবা গো! আমার মেয়ে আজ সত্যি বলতে চাইছে?যার গপ্পের গরু সবসময় গাছের মগডালে চড়ে থাকে। বললাম,“বলো মা। বলে ধন্য করো। আজ কার মুখ দেখে উঠেছি?নির্ঘাত নিজের। ”
“মা, বলছি কি না যে,সেই যে তুমি শীতকালে লিপ বাম কেনো না, যেটা ঠোঁটে মাখলে-”।
অধৈর্য হয়ে বললাম,“হ্যাঁরে বাপ। লিপবাম কাকে বলে আমি জানি। আগে বল-”।
“সেই যে সেবার তুমি নিভিয়ার লিপবাম এনেছিলে, আমি যেটা চারদিনে শেষ করে ফেলেছিলাম বলে খুব বকেছিলে না?”হ্যাঁ।  তো? “মা ওটা না খেতে দারুণ ভালো ছিল। আমি ওটা খেয়ে নিয়েছিলাম। ”
“সর্বনাশ তুই লিপবাম খেয়েছিলি?ওয়াক থুঃ। ”
তাহলে গপ্পটা বলেই ফেলি,২০১৬সালের কথা(সাল তারিখ তুত্তুরীই ধরিয়ে দিল) শীত পড়ার মুখে মেয়ের খুব ঠোঁট ফাটছিল বলে,ওকে এক টিউব লিপবাম কিনে দেওয়া হয়। শুধু ও ব্যবহার করবে। পরের রাতেই তিনি নিখোঁজ হন। খোঁজাখুজি,ধমক ধামকের পর দলামোচড়া টিউবটা দিনচারেক পর বের হয়। আমাদের ধারণা ছিল ঐ টিউবটি ও রেড্ডিকে মাখিয়েছিল। রেড্ডি একটি রক্তিম বর্ণা তুলোভরা পুতুল ছিল। যাকে তার কদিন আগেই তুত্তুরী এক কৌটো বোরোলীন মাখিয়েছিল। এই নিয়ে মাসি বকতে যাওয়ায় মাসিকে শুনতে হয়,“পুতুল বলে কি রেড্ডি মানুষ না?ওর কি শীত লাগে না? গা ফাটে না?” আজ জানা গেল,বেচারা রেড্ডি নির্দোষ ছিল।
আমাদের গপ্প #১০- ২৮শে এপ্রিল, ২০২০
-এই সিনেমাটার জন্য আমি আজ পড়াশোনাও বন্ধ রাখলাম?
- কেন? 
- এই রকম সিনেমাই তো দেখা উচিত, শিক্ষামূলক ছবি। 
-(বাসন ধুতে ধুতে, টিভির পর্দা থেকে ভেসে আসা এলভিসের সুরে অন্যমনস্ক হয়ে)ও। হ্যাঁগো, বলছি কি না, তুমি যে লাইনগুলো লিখেছিলে না, তুমি কি ওগুলো ‘মিন’ করেছিলে?
- কোন লাইন? কবে?
-সেই যে বিয়ের আগে-
-ও বাবা! সে তো অনেককাল আগের কথা- কি লিখেছিলাম কে আর মনে রেখেছে?
- আরেঃ ঐ যে গো, মেসেজ পাঠিয়েছিলে না, “ Like a river flows surely to the sea/Darling so it goes/ Some things are meant to be/ Take my hand, take my whole life too/ For I can't help falling in love with you”। 
-(নৈবিত্তিক ভাবে) অ। ও তো আমি পড়েছিলাম, এই সব লাইন লিখে পাঠালে মেয়েরা খুশিটুশি হয়, তাই আর কি-
-ধ্যাৎ। আমি জানি, তুমি সত্যি কথাটা বলছ না। তুমি যা অনুভব করেছিলে, তাই লিখেছিলে-
-হুঁ। তাহলে তো এখনও যা অনুভব করছি,তাই দেখতে যাচ্ছি। 
- কি?
- How to Murder Your Wife। 

No comments:

Post a Comment